Tax Audit

ভ্যাট/ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল ও কোম্পানি অডিট রিপোর্ট

অডিট কী?

কোন আর্থিক কর্মকাণ্ড প্রয়োজনীয় নীতিমালার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য পরিচালিত নিয়মমাফিক ও নিরপেক্ষ মূল্যায়নকে অডিট বলে। এ কাজের প্রক্রিয়া পরিচিত অডিটিং হিসাবে।

সরকারি, বেসরকারি ও প্রাইভেট – সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে অডিটিং পরিচালিত হয়।

অডিটিংয়ের উদ্দেশ্য কী?

প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণী কতটুকু সঠিক, তা যাচাই করা;

রাষ্ট্রীয় আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালার সাথে আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গতি পরীক্ষা করা;

প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কর্মকাণ্ড কীভাবে পরিচালিত হয়, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া।

অডিটরের ধরনের ভিত্তিতে এটি দুই প্রকার।

ইন্টারনাল অডিট, যা একটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অডিটররা পরিচালনা করেন;

এক্সটার্নাল অডিট, যা বাইরের কোন প্রতিষ্ঠানের অডিটররা পরিচালনা করেন।

 

বাংলাদেশ ব্যাংক এর ডেটাবেইজ এর সাথে এনবিআর এর ডেটা এক্সেস নিয়ে কাজ চলছে। সম্প্রতি শেষ হয়েছে অডিট রিপোর্ট নিয়ে “ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন সিস্টেম”।প্রথমেই বলে নেই “ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন সিস্টেম” তথা DVS এর কথা, খুব সহজ জিনিস; আপনার কোম্পানীর আয়-ব্যয়,সম্পদ-দায় এর হিসেব অডিট হবে; সেখানে একটা অনলাইন নিবন্ধিত অডিট রিপোর্ট নাম্বার থাকবে, যে নাম্বার দিয়ে এনবিআর এবং বাংলাদেশ ব্যাংক সহ যে কোন প্রতিষ্ঠান খুব সহজেই সেই অডিট রিপোর্ট, তার অডিটর এর সাথে সরাসরি কানেক্ট হবে। ফলে বহুযুগ থেকে চলে আসা ব্যাংক লোণ এর জন্য আলাদা অডিট রিপোর্ট, ইনকাম ট্যাক্স এর জন্য আলাদা রিপোর্ট, নিজেদের কাজের জন্য আলাদা রিপোর্ট, এমনকি ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংক থেকে লোণ নিতে ভিন্ন ভিন্ন রিপোর্ট এইসব খুব শীঘ্রই একেবারে বন্ধ হতে যাচ্ছে। প্রশ্ন হল কেন? সেই কেন এর উত্তরে যাওয়ার আগে দেখে নেয়া যাক আই “ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন সিস্টেম” তথা DVS আসলে কি?

“ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন সিস্টেম” তথা DVS হচ্ছে ICAB কর্তৃক প্রণীত একটা অনলাইন বেইজড সফটওয়্যার যা কয়েক বছর আগে; ০১লা ডিসেম্বর ২০২০ থেকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে অডিট এর জন্য। ভালো কথা যারা ICAB চিনেন না, তাদের জন্যঃ সিএ ফার্ম, সিএ এসব নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন; এই সিএ ফার্ম যে প্রতিষ্ঠান এর নিয়ন্ত্রণে থাকে, যে প্রতিষ্ঠান থেকে সিএ ডিগ্রী নেয়া হয়, সেটাই ICAB তথা “The Institute of Chartered Accountants of Bangladesh (ICAB)”। আর হ্যাঁ, ভালো কথা, দেশের একাউন্টিং প্রফেশনের সকল নিয়ম কানুন এই প্রতিষ্ঠানের গবেষণা থেকেই প্রণীত হয় এবং সারা বিশ্বের প্রতিটি দেশেই একটি করে Institute of Chartered Accountants রয়েছে এই কাজের জন্য।

এখন “ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন সিস্টেম” তথা DVS এর মধ্যে একজন অডিটর একটি কোম্পানির অডিট কাজ শেষ করার পর ঐ কোম্পানীর কিছু আর্থিক ব্যবসায়িক তথ্য সাবমিট করবেন এবং এরপর সেই অডিট রিপোর্ট এবং সংশ্লিষ্ট ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটসমেন্ট এর জন্য একটা “ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন কোড” জেনারেট হবে। সেই কোড অবশ্যই সেই অডিট রিপোর্ট এবং ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটসমেন্ট এ অডিটর এর স্বাক্ষরেরে পাশে লিখতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে; যেটা ছাড়া অডিট রিপোর্ট বা উক্ত ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটসমেন্ট গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। এই কোডটি দিয়েই পরবর্তীতে অডিট রিপোর্ট এবং ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটসমেন্ট এর এক্সটার্নাল ইউজার তথা ট্যাক্স, ভ্যাট, ব্যাংক সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান উক্ত রিপোর্ট এবং স্টেটসমেন্টস ভেরিফাই করতে পারবেন। আর এর ফলে একই অর্থ বছরে আগে যে ভিন্ন ভিন্ন কাজে, উদ্দেশ্যে কয়েকটা করে অডিট রিপোর্ট করতে পারতো একটা কোম্পানী; সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।

ভ্যাট রিটার্ন দাখিল

অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল না করা সব প্রতিষ্ঠান সরকারি সুবিধা বঞ্চিত হবেন। কর্তৃপক্ষ বলছে দেশের মোট দুই লাখ ৮০ হাজার নিবন্ধিতের মধ্যে মাত্র এক লাখ ৫১ হাজার প্রতিষ্ঠান অন লাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করছেন। তবে, ব্যবসায়ীরা বলছেন এনিয়ে রাজস্ব কতৃপক্ষ তাদের কোন প্রশিক্ষণ দেয়নি, তাই ভোগান্তি এবং ঝামেলা মুক্ত থাকতে হাতে লিখে রিটার্ন দাখিল করছেন অনেকে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সরবরাহ করা ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই ক্রেতার কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। তবু মাস শেষে অনেক প্রতিষ্ঠানই ইলেকট্রনিক পদ্ধতি ছেড়ে হাতে লেখা কাগজেই দাখিল করছে ভ্যাট রিটার্ন। ভ্যাট অনলাইন কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রথম দিকে এই সেবায় কিছু ক্রুটি ছিলো। এখন সব ব্যাংককে এই সেবার আওতায় আনা হয়েছে। এখনো যারা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করবে না, তারা সরকারের বেশ কিছু সুবিধা পাবেন না। পাশপাশি তাদের জন্য অপেক্ষা করছে জরিমানাসহ বেশ কিছু শাস্তি।

ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল

অর্থ আইন-২০২২ এর মাধমে আয়কর আইেনর “ধারা ১৮৪ এ” পরিবর্তন করা হয়েছ। এখন থেক অর্থাৎ ১ জুলাই, ২০২২ থেকে যে সকল কাজে বা সেবার ক্ষেত্রে (প্রায় ৪০ ধরেনর সেবায়) ই-টিনের পরিবর্তে “রিটার্ন দাখিলের প্রাপ্তি স্বীকার পত্র/ ট্যাক্স রিটার্ন জমা রসিদ/ ট্যাক্স পরিশোধের সার্টিফিকেট জমা ডিতে হবে।

আমরা অডিট রিপোর্ট, ভ্যাট, ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতে সহায়তা প্রদান করি।

খরচঃ
Scroll to Top
Need Help? Chat with us